(ক) মাইকোপ্লাজমোসিস (Mycoplasmosis)
মাইকোপ্লাজমা দ্বারা সৃষ্ট মুরগির রোগসমূহকে মাইকোপ্লাজমোসিস বলে। সাধারণত মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম ও মাইকোপ্লাজমা সাইনোভি নামক জীবাণু মুরগির মাইকোপ্লাজমোসিস রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। সকল বয়সের মুরগি এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগে মৃত্যু হার সাধারণত কম তবে অন্য রোগে সৃষ্ট জটিলতার জন্য মৃত্যু হার ৩০% পর্যন্ত হতে পারে।
রোগের বিস্তার:
রোগের লক্ষণ:
পোস্টমর্টেম লক্ষণ:
শ্বাসনালীতে প্রচুর হলুদাভ সর্দি (মিউকাস) জমে এবং শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়। গিরার ক্রিমের মত আঠালো পদার্থ দেখা যায়।
প্রতিরোধ:
রোগ ছাড়ানোর উপারগুলো ভালোভাবে জেনে সেগুলো সম্পর্কে সতর্কতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে । নিয়মিত টিকা দিতে হবে। মাইকোপ্লাজমা যুক্ত খামার থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। হ্যাচিং ডিম ইনকিউবেটরে রেখে ২-৩ ঘণ্টা ভাগ (৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দিয়ে ০.০৪% -০.১০ টাইলোসিন টারনেটি বা জেন্টামাইসিন দ্রবণের মধ্যে ২৫ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০-৩০ মিনিট রেখে দিলে ডিমের মধ্যেকার মাইকোপ্লাজমা জীবাণু মারা যায়। মুরগির শেডে অতিরিক্ত ধূলাবালি ও অ্যামোনিয়া গ্যাসের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
চিকিৎসা:
টাইলোসিন টারট্রেট ১ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে।
আরও দেখুন...