৩.১.২.৩ মাইকোপ্লাজমা দ্বারা সৃষ্ট রোগ

এসএসসি(ভোকেশনাল) - পোল্ট্রি রিয়ারিং অ্যান্ড ফার্মিং-১ - দ্বিতীয় পত্র (দশম শ্রেণি) | NCTB BOOK

৩.১.২.৩ মাইকোপ্লাজমা দ্বারা সৃষ্ট রোগ

(ক) মাইকোপ্লাজমোসিস (Mycoplasmosis) 

মাইকোপ্লাজমা দ্বারা সৃষ্ট মুরগির রোগসমূহকে মাইকোপ্লাজমোসিস বলে। সাধারণত মাইকোপ্লাজমা গ্যালিসেপ্টিকাম ও মাইকোপ্লাজমা সাইনোভি নামক জীবাণু মুরগির মাইকোপ্লাজমোসিস রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। সকল বয়সের মুরগি এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ রোগে মৃত্যু হার সাধারণত কম তবে অন্য রোগে সৃষ্ট জটিলতার জন্য মৃত্যু হার ৩০% পর্যন্ত হতে পারে।

রোগের বিস্তার:

  • আক্রান্ত মুরগি ও ডিমের মাধ্যমে সুস্থ মুরগি বা বাচ্চাতে রোগটি হতে পারে । 
  • গৃহপালিত মুরগি, বন্যপ্রাণি, আটালী, ইঁদুর প্রভৃতির মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে। 
  • রোগটির সংস্পর্শে আসা মানুষের হাত পা ও আক্রান্ত ফার্মের আসবাসপত্র, যন্ত্রপাতি বা পরিবহন যানের মাধ্যমে রোগটি ছড়াতে পারে

রোগের লক্ষণ:

  • চোখ দিয়ে পানি ও নাক দিয়ে লালা ঝরে, চোখে পুঁজ জমা হয়ে থাকে । 
  • গলায় ঘড় ঘড় শব্দ হয়। 
  • চোখের পাতা, মাথা, মুখ ও পায়ের গিরা ফুলে থাকে। 
  • যার জন্য খুড়িয়ে হাঁটে। 
  • ক্ষুধামন্দা দেখা দেয়, বৃদ্ধি ব্যাহত হয় এবং মুরগি ধীরে ধীরে শুকিয়ে যায় । 
  • পায়ের তলায় ফুলে যায়, পুঁজ হতে পারে। বুকের মাংসে ফোসকা দেখা যায়।

পোস্টমর্টেম লক্ষণ: 

শ্বাসনালীতে প্রচুর হলুদাভ সর্দি (মিউকাস) জমে এবং শ্বাসতন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ফুলে যায়। গিরার ক্রিমের মত আঠালো পদার্থ দেখা যায়।

প্রতিরোধ: 

রোগ ছাড়ানোর উপারগুলো ভালোভাবে জেনে সেগুলো সম্পর্কে সতর্কতামূলক প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিতে হবে । নিয়মিত টিকা দিতে হবে। মাইকোপ্লাজমা যুক্ত খামার থেকে বাচ্চা সংগ্রহ করতে হবে। হ্যাচিং ডিম ইনকিউবেটরে রেখে ২-৩ ঘণ্টা ভাগ (৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) দিয়ে ০.০৪% -০.১০ টাইলোসিন টারনেটি বা জেন্টামাইসিন দ্রবণের মধ্যে ২৫ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ১০-৩০ মিনিট রেখে দিলে ডিমের মধ্যেকার মাইকোপ্লাজমা জীবাণু মারা যায়। মুরগির শেডে অতিরিক্ত ধূলাবালি ও অ্যামোনিয়া গ্যাসের উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

চিকিৎসা: 

টাইলোসিন টারট্রেট ১ গ্রাম ১ লিটার পানিতে মিশিয়ে ৩-৫ দিন খাওয়াতে হবে।

 

 

 

Content added By

আরও দেখুন...

Promotion